ঢাকা | বঙ্গাব্দ

পেট্রোল দিয়ে স্ত্রীকে পোড়ালেন, নিজেও পুড়লেন আগুনে

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পরকীয়ার জেরে রহিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার স্বামী নুরুল আলম (৪৫) । এসময় নিজের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
  • আপলোড তারিখঃ 09-05-2025 ইং |
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 20545 জন
পেট্রোল দিয়ে স্ত্রীকে পোড়ালেন, নিজেও পুড়লেন আগুনে ছবির ক্যাপশন: পেট্রোল দিয়ে স্ত্রীকে পোড়ালেন, নিজেও পুড়লেন
ad728

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পরকীয়ার জেরে রহিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার স্বামী নুরুল আলম (৪৫) । এসময় নিজের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।


বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।


 


পরে স্থানীয়রা দগ্ধ রহিমা ও আলমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।


 


দগ্ধ রহিমার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ও আলমের পা-হাত-বুকসহ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।


 


গৃহবধূ রহিমা উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে ও আলম একই ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে আব্দুর মান্নানের ছেলে। আলম পেশায় ব্যবসায়ী।হাসপাতাল বেডে দগ্ধ নুর আলম জানান, কয়েক বছর আগে একই ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার রহিমাকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর প্রায়  ৯ লাখ টাকা ধারদেনা করে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকাঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। সেই সুযোগে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের কানিবগার চরের কাদির সিকদারের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে রহিমা ।


 


২০২৪ সালে ২২ জুলাই দোকান থেকে এসে তিনি কাদির ও রহিমাকে একা ঘরে দেখতে পায়। এ ঘটনায় পরে তিনি রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকেও জানায়। কিন্তু ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে রহিমা তার পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি। এ ঘটনায় আলম তার স্ত্রী ও নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।


 


আলম বলেন, কোথাও কোনো বিচার না পেয়ে প্রচন্ড রাগ হয়। এতে পেট্রল কিনে বাড়িতে এসে দেখি কাদিরসহ তার লোকজন বসে আছে। এনিয়ে ঘরে ঢুকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাগে ক্ষোভে পেট্রল ঢেলে রহিমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি। নিজের গায়েও আগুন লাগিয়েছি।


 


এ ঘটনায় কথা বলা যায়নি রহিমার সঙ্গে। তবে তার ভাগনি লুবনা আক্তার বলেন, পেট্রল ঢেলে আমার খালার শরীরে তার স্বামী আলম আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এসময় ধস্তাধস্তি করায় খালার শরীরের আগুন আলমের গায়েও লাগে।পরকীয়ার জেরে স্ত্রীর গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন দিলেন স্বামী, পুড়লেন নিজেও


লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে পরকীয়ার জেরে রহিমা বেগম (৩০) নামে এক গৃহবধূর শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছেন তার স্বামী নুরুল আলম (৪৫) । এসময় নিজের শরীরেও আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।

পরে স্থানীয়রা দগ্ধ রহিমা ও আলমকে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।


 


দগ্ধ রহিমার শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ও আলমের পা-হাত-বুকসহ শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে।


 


গৃহবধূ রহিমা উপজেলার উত্তর চরআবাবিল ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার আব্দুল হামিদের মেয়ে ও আলম একই ইউনিয়নের চরপক্ষী গ্রামে আব্দুর মান্নানের ছেলে। আলম পেশায় ব্যবসায়ী।হাসপাতাল বেডে দগ্ধ নুর আলম জানান, কয়েক বছর আগে একই ইউনিয়নের গাইয়ারচর এলাকার রহিমাকে বিয়ে করেন তিনি। এটি দুজনরই দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। বিয়ের পর প্রায়  ৯ লাখ টাকা ধারদেনা করে তিনি পার্শ্ববর্তী এলাকায় দোকাঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করে আসছেন। সেই সুযোগে দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়নের চরকাছিয়া গ্রামের কানিবগার চরের কাদির সিকদারের সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে রহিমা ।


 


২০২৪ সালে ২২ জুলাই দোকান থেকে এসে তিনি কাদির ও রহিমাকে একা ঘরে দেখতে পায়। এ ঘটনায় পরে তিনি রায়পুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকেও জানায়। কিন্তু ঘটনার কোনো সুরাহা হয়নি। এরমধ্যে রহিমা তার পরকিয়া প্রেমিকের সঙ্গে অবাধে মেলামেশা শুরু করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি। এ ঘটনায় আলম তার স্ত্রী ও নিজের শরীরে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে স্থানীয়রা আগুন নিভিয়ে তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে।


 


আলম বলেন, কোথাও কোনো বিচার না পেয়ে প্রচন্ড রাগ হয়। এতে পেট্রল কিনে বাড়িতে এসে দেখি কাদিরসহ তার লোকজন বসে আছে। এনিয়ে ঘরে ঢুকে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে রাগে ক্ষোভে পেট্রল ঢেলে রহিমার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছি। নিজের গায়েও আগুন লাগিয়েছি।


 


এ ঘটনায় কথা বলা যায়নি রহিমার সঙ্গে। তবে তার ভাগনি লুবনা আক্তার বলেন, পেট্রল ঢেলে আমার খালার শরীরে তার স্বামী আলম আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। এসময় ধস্তাধস্তি করায় খালার শরীরের আগুন আলমের গায়েও লাগে।



তবে কি কারণে আগুন লাগানো হয়েছে তা বলেতে পারেনি তিনি।


 


সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) অরুপ পাল বলেন, দগ্ধ অবস্থায় দুইজন রোগীকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। এরমধ্যে নারীর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ ও পুরুষের প্রায় ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়। তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।


 


রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এর আগেই দগ্ধদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ দৈনিক ভোরের সকাল

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ